সেনা অভিযানে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আগামী দুই বছরের মধ্যে পুনর্বাসনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার ঐক্যমতে পৌঁছেছে। তবে রোহিঙ্গাদের ফেরানো পরবর্তী অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন।
মিয়ানমারের রাজধানী নেইপিদোতে দু’দিনের বৈঠক শেষে মঙ্গলবার বাংলাদেশ-মিয়ানমারের কর্মকর্তারা বিবৃতিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের এ প্রক্রিয়া শিগগিরই শুরু হবে বলে জানিয়েছেন।
মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সাইফুর রহমান স্কাই নিউজকে বলেছেন, ‘দু’দিনের বৈঠকে আমরা একটি ফরম পূরণের ব্যাপারে একমত হয়েছি; যে রোহিঙ্গারা এ ফরমের শর্তাবলি পূরণে সক্ষম হবেন তারাই মিয়ানমারে ফিরতে পারবেন।’
কিন্তু মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে, ‘রোহিঙ্গাদের জীবন আরো বিপন্নতার মুখে ফেলবে এ চুক্তি।’ বার্মা ক্যাম্পেইন ব্রিটেনের নেতা মার্ক ফারম্যানার স্কাই নিউজকে বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের সঙ্গে পিং পং (বিশ্বের জনপ্রিয় খেলাগুলোর মধ্যে টেনিস অন্যতম একটি খেলা। এটি পিং পং নামেও পরিচিত) খেলছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। এ খেলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নীরবে দাঁড়িয়ে আছে।’
‘তাদের বৃহৎ কারা শিবিরে পাঠানো হবে। যেখানে তাদের কোনো অধিকার নেই এবং তাৎক্ষণিকভাবে আবারো মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হামলার ঝুঁকি রয়েছে।’
রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনী যে অভিযান চালিয়েছে তাকে জাতিগত নিধনে পাঠ্যপুস্তকীয় উদাহরণ হিসেবে মন্তব্য করেছে জাতিসংঘ। অন্যান্য পর্যবেক্ষকরা সেনাবাহিনীর অভিযানকে গণহত্যা বলে চিহ্নিত করেছে।
রাখাইনে সেনাবাহিনীর অভিযানে পরিকল্পিত উপায়ে গণহত্যা, গণধর্ষণ ও সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের শত শত বাড়ি-ঘর ধ্বংস করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ রাখাইন প্রদেশে ৩০ হাজার রোহিঙ্গাকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ৬২৫টি ভবন নির্মাণ করছে। চলতি মাসেই এসব ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছে দেশটি।
সূত্র : স্কাই নিউজ।